চট্টগ্রামে নৌঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলা

ডেইলি বিডি নিউজঃ চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আওতাধীন নৌবাহিনীর ঈসা খান ঘাঁটির নাবিক কলোনির সংরক্ষিত এলাকায় একটি মসজিদ চত্বরে সামনে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘নৌঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম অবিস্ফোরিত বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে। বিস্ফোরণে ছয়জন মুসল্লির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরই ওই এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে আরো কয়েকটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই নৌবাহিনীর ঈসা খান ঘাঁটির দুই নম্বর গেটের কাছে নাবিক কলোনি মসজিদের বাইরে পর পর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এই সময় চারদিকে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চারপাশে সাধারণ মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। বোমার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
তবে আহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই মসজিদের বাইরে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) জাহেদুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি ঈশা খাঁ ঘাঁটির কাছে, আরেকটা হাসপাতালের কাছে। দুটো মসজিদের ভেতরেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। বেশকিছু বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় বাইরে পাওয়া গেছে। ছয়জন মুসল্লি আহত। তারা সবাই নৌবাহিনীর বেসামরিক কর্মকর্তা।’
তিনি জানিয়েছেন, ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে দু’টি এবং নৌবাহিনীর হাসপাতাল এলাকার মসজিদে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
জাহেদুল ইসলাম আরো জানান, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে নৌবাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। তারা হলেন- নৌবাহিনীর ব্যাটম্যান রমজান ও বলপিকার মান্নান।
তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করছেন না। এমনকি ঘটনাস্থলে সাংবাদিক যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটকিয়ে দেয়া হয়। কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয় তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাও। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং র্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। বর্তমানে সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।