কম্বল দখল করছে লেপের বাজার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ কার্তিক মাস প্রায় শেষ। শীত আসছে। এখনই বাজারে খোঁজখবর শুরু হয় লেপ-কম্বলের। নতুন করে যেমন লেপ-কম্বল কেনা হয় তেমনি পুরানো লেপ নতুন করে বানিয়েও নেন অনেকে। কিন্তু মৌলভীবাজারে এবারের চিত্র ভিন্ন। বাজারে লেপ-তোষকের চেয়ে কম্বলের চাহিদা বেশি।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়,দোকানিরা রঙ বেরঙের নতুন কাভারের লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ক্রেতাদের কোনো সাড়া নেই।
কথা হয় লেপ-তোষকের কারিগর আইয়ুব মিয়ার সঙ্গে। তার দোকানে প্রতিটা তোষক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, বড় তোষক ২৫০০ টাকা,লেপ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও শিমুল তুলা ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আইয়ুব মিয়া বলেন,প্রতিবছর এই সময়ে আমাদের ব্যবসা অনেক ভালোই চলে। কিন্ত করোনার কারণে এবার ক্রেতা নেই। ফাল্গুন মাসে বিয়েশাদি কম হওয়ায় এবার ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। আর মানুষ এখন কম্বলই বেশি কেনে। এ কারণেও লেপ বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসা কম হওয়ায় কারিগরদের ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমি একাই সব কাজ করছি। এমনও দিন আছে কোনো ক্রেতা আসে না।
শারমিন বেডিং সেন্টারের প্রোপাইটর মো. শুক্কুর মিয়া বলেন,এবার অনেক আগে শীত এসেছে । কিন্তু খুচরা ক্রেতা খুব কম। এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টা অর্ডার এসেছে। অন্যান্যবার শীতের আগে থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমাতেন। সে তুলনায় এবছর ক্রেতাই নেই।
শুধু শুক্কুর মিয়া নয়, বেশিরভাগ বিক্রেতারই এমন বক্তব্য।
শিক্ষার্থী কামরান আহমদ বলেন,শীত শুরু হলেও এর তীব্রতা এখনও কম। রাতের দিকে ঠাণ্ডা লাগে। আগের লেপ দিয়ে চলে যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, গত ৬ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর প্রতিদিনই ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে শীত আরও বাড়বে।