গাড়ির লাইসেন্স নবায়নঃ বাড়বে না সময়, কঠোর হচ্ছে বিআরটিএ

ডেইলি বিডি নিউজঃ জরিমানা ছাড়া যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের বর্ধিত সময়সীমা দ্বিতীয়বারের মতো বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রথম দফায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও করোনার কারণে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে ওই সময় ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে, ৩০ জুনের পর আর সময় বাড়ানো হবে না, সে বিষয়ে বিআরটিএ সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ-এর উপপরিচালক (আইন) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জরিমানা ছাড়া যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের বর্ধিত সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু করোনার কারণে অনেকেই নবায়ন করতে পারেননি। তাদের কথা বিবেচনা করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ লাইসেন্স নবায়ন না করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেল বা জরিমানা করবেন। এরপর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন,‘আপনারা জানেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা সবসময়ই অভিযান চালিয়ে থাকে। গাড়ির কাগজপত্র না থাকলে বা গাড়ির ফিটনেস নবায়ন না করলে বা অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার বিষয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন,বৈধ কাগজপত্র না থাকলে-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট,ফিটনেস সার্টিফিকেট,ট্যাক্স টোকেন,ইন্স্যুরেন্স,সাধারণ পরিবহনের জন্য রুট পারমিট,সর্বোপরি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি না থাকলে মোটরযান আইনে মামলা হতে পারে। এগুলোকে ডকুমেন্টারি মামলা বলা হয়। তিনি আরও বলেন,ভুল করা বা ট্রাফিক আইন না মানা-ট্রাফিক সিগন্যাল-লাইট না মেনে গাড়ি চালানো,বিপজ্জনকভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, যখন-তখন লেন পরিবর্তন করা,গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলফোনে কথা বলা, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ইত্যাদি কারণে মামলা হতে পারে।
বিআরটিএ-এর উপপরিচালক বলেন,যানবাহনের হেডলাইট না জ্বলা বা না থাকা,ইন্ডিকেটর লাইট না থাকা, গাড়ির বডিতে বিবরণ না থাকা, মালিক বা মালিকের নাম ঠিকানা না থাকা,গাড়িতে অতিরিক্ত আসন সংযোজন সংযোজন বা পরিবর্তন করার কারণেও মামলা হতে পারে।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সময় বাড়ানোর পর থেকে মোটরযান রেজিস্ট্রেশন,ফিটনেস,রোড ট্যাক্স,রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মালিকানা বদলি,রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট,ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের জন্য নির্ধারিত হারে কর ও ফি পরিশোধ করার চাপ বেড়েছে।